গত বুধবার খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মোহাম্মদ মামুন (৩০) নামে এক বাঙালি যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের পাশাপাশি দোকান ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরের দিন শুক্রবার খাগড়াছড়ির ঘটনার প্রভাবে রাঙামাটিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যেখানে আরও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মোহাম্মদ মামুনকে মারধরের পর তিনি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডের জের ধরে ১৯ সেপ্টেম্বর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সংঘর্ষের সময় লারমা স্কয়ার ও দীঘিনালা কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে, রাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাহাড়িদের সংঘর্ষে তিনজন পাহাড়ি নিহত হন এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন।

পরের দিন ২০ সেপ্টেম্বর, এই ঘটনার জেরে রাঙামাটিতে বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় একজন নিহত এবং ৫৫ জন আহত হন। বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর, দোকানপাট এবং যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

এইচআরএসএস পৃথক এই দুই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে। তারা অবিলম্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে